- by Koyel Majhi
- 2025-05-17 19:36:23
Loading
Loading
দ্বিতীয় বর্ষের কয়েক জন ছাত্রকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ‘ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি’-র দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম পীযূষ কুমার এবং সৌরভ কুমার। বিহারের নওদা জেলার ভাদোখানায় বাড়ি পীযূষের। সৌরভ বিহারের বৈশালি জেলার পাতেপুর থানার বাজেদপুরের বাসিন্দা। রবিবার বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ মোড় থেকে তাঁদের পাকড়াও করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। সোমবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয় দুই ছাত্রকে। র্যাগিংয়ে জড়িত বাকিদের হদিস পেতে এবং মারধরে ব্যবহৃত লোহার রড এবং অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করার জন্য দু’জনকে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। শেষমেশ ধৃতদের দু’দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই ‘ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি’-র তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের কয়েক জন পড়ুয়া মিলে এজেসি বোস বয়েজ় হস্টেলে থাকা দ্বিতীয় বর্ষের কয়েক জন ছাত্রকে র্যাগিং করছিলেন। তাঁদের উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। রবিবার ভোররাতে তা চরমে ওঠে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনিরুদ্ধ শর্মাকে রড, লাঠি প্রভৃতি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর রুমমেট এবং কয়েক জন আবাসিক অনিরুদ্ধকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। অনিরুদ্ধের মাথা লক্ষ্য করে লোহার রড চালানো হয়েছিল। তিনি হাত দিয়ে মাথা বাঁচাতে যান। তখন রডের বাড়ি এসে পড়ে ছাত্রের হাত এবং ঘাড়ে। তাঁকে বাঁচাতে যাওয়া পড়ুয়ারাও গুরুতর জখম হয়েছেন। এ নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয় | এমন ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও বেশ কয়েক বার হস্টেলে এমন ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তাঁদের। কয়েক জন পড়ুয়াকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। মারধরও চলে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরে থাক, পুরো বিষয়টিই চেপে যান। তিনি বলেন, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষের এই ভূমিকায় উৎসাহিত হয় । ঘটনার দিন বিকেলেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র কয়েক’টি ধারার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং নিরোধক আইনে মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।